Sunday, March 20, 2011

নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে হিজড়ারা!!!!!!!!!!!!

আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আমরা প্রতিনিয়ত তথ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে ব্যস্ত থাকি। সময় এর কারণে সব বিষয় সম্পর্কে জানা সহজ হয়ে উঠে না। somewhereinbloger জন্য আমি আজকে একটি খবর সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছি। যার প্রাসঙ্গিক বিষয় হল : হিজড়া-

"হিজড়াদের নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে পাওয়া গেছে তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নানা তথ্য। তারা চাঁদাবাজি, মারামারিসহ নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এমনকি তাদের হাতে খুনের ঘটনাও ঘটেছে। তারা আবার সন্ত্রাসীদেরও আশ্রয় দিয়ে থাকে। হিজড়া হওয়ার সুযোগে তারা আইনশৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে করছে মাদক ব্যবসাও। দিনের বেলায় দোকানে দোকানে গিয়ে চাঁদা ওঠানো হিজড়াদের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। আর রাতে ছড়িয়ে পড়ে পতিতাবৃত্তিতে। তাদের অনেকে ছিনতাইও করে। এছাড়া পাড়া-মহল্লায় তাদের সোর্স নিয়োগ থাকায় নবজাতক সন-ান জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গে তারা জানতে পারে। এ জন্য সোর্সদের টাকাও দেয় তারা। প্রায় সময় এমন হয়, পুরষরা যখন বাসায় থাকেন না তখন তারা হামলে পড়ে ওই বাড়িতে। উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ৬/এ নম্বর রোডের ৬ তলা বাড়ির কেয়ারটেকার জিয়া। মাসখানেক আগে তার ছেলে সন-ান জন্মেছে। খবর পেয়ে ৯ মার্চ একদল হিজড়া তার বাসায় হাজির। তার সন-ান তুহীনকে নাচাবে। এ জন্য ৫ হাজার টাকা দাবি করে। জিয়া বলেন, ৫ হাজার দিতে পারব না জানালে তারা গালাগাল শুর" করে। একপর্যায়ে আমার ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। মার্চ মাসের শুর"র দিকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর রোডের ৪৩ নম্বর বাড়িতে একদল হিজড়া চাঁদা আদায় করতে যায়। চাঁদার টাকা না পেয়ে তারা ওই বাড়ি ভাংচুর করে। তাদের স্বপ্রণীত আইন অনুযায়ী ছেলে সন-ান হলে পাঁচ হাজার টাকা, মেয়ে সন-ানের জন্য ৩ হাজার টাকা ও বিয়ের জন্য ৫ থেকে ১০ হাজার, অন্যান্য অনুষ্ঠানে আরও কয়েক হাজার টাকা দিতে হয়। এছাড়া দোকানে দোকানে দলবেঁধে গিয়ে চাঁদাবাজি করে। চাঁদার টাকা না দিলেই গালাগাল করে। টাকা না পেয়ে দোকানের মালামাল নিয়ে যায় তারা। মোহাম্মদপুর টাউন হলের মুদি দোকানি মাসুম বলেন, কি বলব ভাই। হিজড়াদের টাকা না দিয়ে উপায় নেই। আগে ৫ টাকা দিলে নিত। এখন ১০ টাকার কমে নিতে চায় না। টাকা না দিলেই দোকানের কাস্টমারের সামনে কাপড়-চোপড় খুলে ফেলে। উত্তরা জসিমউদ্দীন মোড়ের এক দোকানি সালমান বলেন, তাদের টাকা দিতেই হবে। নইলে মান-সম্মান যাবে।
কাজের বুয়ারাও হিজড়াদের সোর্স : কাজের মহিলা রোকেয়া। থাকে খুলনায়। কিন' ঢাকায় এসে হিজড়াদের সোর্স হিসেবে কাজ করে মাসে ১৫ হাজার টাকা কামিয়েছে অনুসন্ধানে এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে। মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সারা তানজিনা ইভা তার বুয়া রোকেয়ার হিজড়া কানেকশনের তথ্য দেন যুগান-রকে। তিনি বলেন, ৪০ বছর বয়স্ক রোকেয়া খুলনায় তার শ্বশুর বাড়িতে বুয়ার কাজ করত। কিছুদিন আগে সে ঢাকায় তার মিরপুরের বাসায় উঠে বলে- ‘আপা আপনার বাসায় কিছুদিন থাকব।’ আমি রোকেয়ার কথায় সরল মনে রাজি হয়ে যাই। আমার সন-ান তার কাছে রেখে আমি অফিসে চলে আসি। কিন' দেখতে পাই আমি অফিসে চলে আসার পর সে বাইরে কোথায় যেন চলে যায়। তাকে জিজ্ঞেস করলে বলে, আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছি। কিন' প্রায়দিন এভাবে সে না বলে বাইরে যায় এবং রাতে আসে। এটা দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার গতিবিধি অনুসরণ করতে গিয়ে দেখতে পাই সে হিজড়াদের হয়ে কাজ করে। সোর্সের মতো তার কাজ। কোন বাসায় কার সন-ান হল অন্য কাজের বুয়াদের কায় থেকে সে তথ্য নিয়ে সেই তথ্য হিজড়াদের জানায়। এতে সে প্রতিদিন অন-ত পাচশ’ টাকা করে পায় বলে স্বীকার করে।
ওদের পতিতাবৃত্তি এবং একটি খুনের ঘটনা : ফার্মগেট, পরীবাগ ফুট ওভারব্রিজ, মহাখালী ফ্লাই ওভারের নিচে, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, সংসদ ভবন এলাকা, চন্দ্রিমা উদ্যান, ধানমণ্ডি লেক, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন স'ানে রাতের আঁধার নামলেই পতিতাবৃত্তিতে নেমে পড়ে অনেক হিজড়া। পতিতার আড়ালে করে ছিনতাই। রাতে পথচারীরা রেহাই পায় না তাদের হাত থেকে। ফুট ওভারব্রিজগুলোতে উঠলেই তাদের ডাকে সাড়া দিতে হবে, নইলে টানাহিঁচড়া শুর" করে দেয়। অনেকে নারী ভেবে আমোদফুর্তি করার জন্য তাদের নিয়ে যায় বাসায়। পরে হিজড়া দেখে মারামারি এমনকি খুন-খারাবির ঘটনাও ঘটে। ২০০৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাতে ধানমণ্ডির কলাবাগান এলাকার এক শিক্ষক সোহাগী নামের এক হিজড়ার হাতে খুন হন। ওই ঘটনায় সোহগীকে গ্রেফতারও করে পুলিশ।
দুই হিজড়া নিহত হওয়ার পেছনের কথা : ২১ ফেব্র"য়ারি রাতে রাজধানীর পল্লবী থানার ইস্টার্ন হাউজিংয়ের বকুলতলা থেকে আনোয়ার ওরফে আলাউদ্দিন (২৭) নামের এক হিজড়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের অভ্যন-রীণ বিরোধের জের ধরে আলাউদ্দিন নিহত হয়। আলাউদ্দিনসহ ৫-৬ জন হিজড়া মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদা তুলত বলে জানা গেছে। পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, লাশটি উদ্ধারের সময় তার মুখমণ্ডলে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। গলায় পেঁচানো ছিল ওড়না। মেয়ে সেজে পতিতাবৃত্তি করতে গিয়ে সে খুন হয়েছে। এছাড়া চাঁদা তোলার জের ধরে এলাকার সীমানা নির্ধারণসহ নানা কারণে হিজড়াদের মধ্যেই গ্র"পিং ও আধিপত্য রয়েছে। এ ঘটনার জের ধরেও আলাউদ্দিন খুন হতে পারেন। ২২ ডিসেম্বর বাড্ডা এলাকার নয়ানগরের ৫ নম্বর রোডের ১৫ নম্বর বাসায় চাঁদা চাইতে যায় পাপিয়া হিজড়া। তার সঙ্গে আরও ৪ জন হিজড়া ছিল। বাড্ডা থানার এসআই শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, সন-ান নাচাতে ৫ হাজার টাকা দাবি করে পাপিয়া। বাড়িতে কোন পুর"ষ না থাকায় টাকা দিতে অপারগতা জানায় ওই গৃহবধূ। টাকা না পেয়ে মারধর করে তাকে। এ সময় স'ানীয় জনগণ ছুটে এলে তারা ৫ তলা বাড়ির ছাদে পালিয়ে যায়। জনগণ ছাদে উঠলে পাপিয়া পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে হাত ফসকে মাটিতে পড়ে মারা যায়। থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়।
কোটিপতি হিজড়া : হিজড়াদের মধ্যে কারও কারও রয়েছে অঢেল সম্পদ। তারা কিভাবে এসব সম্পদ গড়েছে সংশ্লিষ্টরা তার কোন জবাব দিতে পারেনি। তবে নানা মাধ্যমে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছে অনেক হিজড়া। খিলক্ষেত এলাকায় দলনেতা নাজমার অধীনে রয়েছে ৪০ জন হিজড়া। ৩০ বছর আগে পুর"ষাঙ্গ কেটে হিজড়া হয়েছে নাজমা। সে এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ পরিচিত। তার প্রায় অর্ধকোটি টাকা বিভিন্ন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের কাছে সুদে দেয়া আছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে তার মাসিক আয় প্রায় ২ লাখ টাকা। ঢাকায় তার তিনটি বাড়ি ছাড়াও একাধিক প্লট রয়েছে। তার এসব বাড়ি ফায়দাবাদ, খিলক্ষেতে ও গাজীপুর বোর্ডবাজার এলাকায়। খিলক্ষেত বটতলা এলাকার আলম জানান, বটতলা ক-১৮৩/৫ নং ‘মায়ের দোয়া নাজমা ভিলায়’ থাকে নাজমা। এটি তার নিজের বাড়ি। খিলক্ষেত নামার বউরাইতে দুটি প্লটও রয়েছে তার। নাজমা একাধিক ছেলেকে ভারত, খুলনার ফুলতলা ও ধামরাইয়ের রোম আমেরিকান হাসপাতাল থেকে হিজড়া বানিয়েছে। ধলপুর এলাকার আবুল হিজড়াও দুটি বাড়ি ও কয়েক কোটি টাকার মালিক বনে গেছে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে। তার ভাগ্নে রবিন জানান, গোলাপবাগ এলাকার ১৩/বি/১ নম্বরে ৫ তলা ও ধলপুর লিচুবাগানে একটি ৪ তলা ভবনের মালিক আবুল। দক্ষিণখান থানার মধ্য ফায়দাবাদ এলাকার দলনেতা রাহেলা হিজড়াও মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে টাকার পাহাড় গড়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। তার আসল নাম মোহাম্মদ আলী। প্রায় ৩২ বছর আগে হিজড়া হয়েছে সে। তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীও আছে দক্ষিণখান থানা এলাকায়। ৯ মার্চ রাহেলার বাড়ির খোঁজে যাওয়া হয় মধ্য ফায়দাবাদে। অচেনা মানুষ তার বাড়ি খুঁজছে খবর পেয়ে যায় রাহেলা। তাৎক্ষণিভাবে দুই যুবক চলে আসে। স'ানীয়রা জানান, ওই যুবকরা এলাকার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তারা রাহেলার লোক। বাবুল নামের এক ব্যক্তি জানান, তিনভাই লেনের ২৮নং ৩ তলা বাড়িটি রাহেলার। এ থানা এলাকার আরেক দলনেতা শারিকা হিজড়া।
আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাষ্য : র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উনংয়ের পরিচালক কমান্ডার সোহায়েল যুগান-রকে বলেন, দিনে দিনে হিজড়ার উৎপাত বাড়ছে। এদের সদস্য সংখ্যাও বাড়ছে। এটা উদ্বেগের বিষয়। উত্তরা এলাকায় হিজড়াদের তৎপরতা বেশি। অনেকে মাদক ব্যবসা ও পাচারের সঙ্গে জড়িত। বিশেষ করে টেকনাফ থেকে ঢাকায় যেসব ইয়াবা আসে তার সঙ্গে জড়িত হিজড়াদের একাংশ। তিনি জানান, অনেক হিজড়া ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত আছে। রাস-ার মোড়ে মোড়ে হিজড়ারা চাঁদার নামে ছিনতাই করে। বাসায় বাসায় গিয়ে চাঁদার টাকা চায়। টাকা না দিলেই ৫০/৬০ জন হিজড়া জড়ো হয়ে আপত্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-কমিশনার মনির"ল ইসলাম যুগান-রকে বলেন, হিজড়াদের বির"দ্ধে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ বিষয়ে অভিযোগ আছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই তাদের বির"দ্ধে প্রচলতি আইনে ব্যবস'া নেয়া হবে।
সমাজ বিজ্ঞানীর কথা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, জাতীয় এইডস বিশেষজ্ঞ ও সমাজ বিজ্ঞানী ড. আমানুল্লাহ ফেরদৌস যুগান-রকে বলেন, বর্তমানে যেসব হিজড়া দেখা যায় আসলে এরা হিজড়া নয়। এরা নকল হিজড়া সেজে ব্যবসা করছে। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে। কিছু এনজিওর দালাল এসব নকল হিজড়ার এনজিওতে নাম লেখা"েছ। বহির্বিশ্ব থেকে অনুদান আনছে।
আইনে যা বলা আছে : ব্রিটিশ শাসনামলে হিজড়াদের বিতাড়িত করার পাশাপাশি তাদের যৌনতার বির"দ্ধে আইন করা হয়। ওই আইনে হিজড়াদের যৌনতাকে সডোমি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পেনালকোডের ধারা ৩৭৭-এ বলা হয়েছে, এটা শাসি-যোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস-বায়ন সংস'ার মহাসচিব অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা যুগান-রকে বলেন, এদের নিয়ে আলাদা কোন আইন নেই। পরিবারের কাছে এবং সমাজের কাছে তা"িছল্যের শিকার। বেঁচে থাকার তাগিদে তারা দোকানে দোকানে ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদা উঠায় বলে শুনেছি। তবে এদের বিষয়ে ভাবা উচিত। বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ডেপুটি ম্যানেজার এএসএম রহমত উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, হিজড়াদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোন মতেই মেনে নেয়া যায় না। যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনগতভাবে শাসি- হওয়া দরকার।"
সংগৃহীত

ধন্যবাদ সবাইকে।

0 comments:

Post a Comment

 

© 2009 Islam And Computing । Science without Religion is Lame, Religion without Science is Blind | Design by: Islam And Computing

^Back to Top