- বিমাতার আদর
- যিন্দা লাশ
- চোর দরবেশ
- দরবেশ ও বাঘ
- যার নাই উস্তাদ তার উস্তাদ শয়তান
- বেদআতী মোল্লাহ সমাচার
- জমিদার বাবুর 'আল্লাহ' দেখার ঘটনা
- মন্ত্রীর বুদ্ধি
"ইঞ্জিল নয় কদু"
এক খ্রষ্টান বক্তা দেওবন্দে আসতো। আমি (মাওলানা আশরাফ আলী থানবী র.) তখন সেই মাদ্রাসায় পড়তাম। এক দিন সে এস মাদ্রাসার কাছে বক্তৃতা শুরু করে দিল। মহল্লাহর লোক এবং মাদ্রাসার ছাত্র সমবেত হয়ে বেশ বড় একটা সমাবেশ সৃষ্টি করল।
খৃষ্টান লোকটি দাঁড়িয়ে হাতে সুন্দর হরফে ‘ইঞ্জিল’ খচিত একটি বই নিয়ে সমবেত লোকদেরকে লক্ষ্য করে জিজ্ঞাসা করলো, “আমার হাতে এটা কি?”
তার উদ্দেশ্য ছিল এই যে, মুসলমানেরা যদি জবাব দেয় ‘এটা ইঞ্জিল’ তাহলে তাদের এই স্বীকারোক্তি দ্বারা প্রমাণিত হবে যে এটা ইঞ্জিল। আর ইঞ্জিলকে যেহেতু মুসলমানেরা আল্লাহর কিতাব হিসাবে বিশ্বাস করে সুতরাং এই বইয়ের হুকুমকেও তারা মানতে বাধ্য হবে।
কিন্তু মুসলমানদের এরুপ জবাব দ্বারা বিতর্কের সৃষ্টি হবে। মুসলমানেরা বলবে, ‘এটা ইঞ্জিল হলেও এর হুকুম রহিত/অচল (মনসুখ) হয়ে গেছে’।
আর সে বলবে ‘না, রহিত হয় নি’। সুতরাং তার প্রশ্ন ‘এটা কি?’ এর জবাবে ‘ইঞ্জিল’ বললে একটা স্থায়ী বিতর্কের সৃষ্টি হবে; যা কখনও শেষ হবে না।
সুতরাং কেউ কোন জবাব দেয়নি।
এমন সময় মাদ্রাসা কমিটির মেম্বার হাকিম মুশতাক আহমেদ এসে গেলেন। তিনি ছাত্রদেরকে বললেন, “সরে যাও, এর জবাব দেওয়া তোমাদের কাজ নয়। আমি জবাব দিচ্ছি’। তিনি বললেন, ‘তোমার প্রশ্নের জবাব আমি দিব। প্রশ্ন যা করতে চাও কর’।
সে খুব উৎসাহের সাথে সেই বইটি হাতে নিয়ে বললো, ‘বলুন, আমার হাতে এটা কি?’ তিনি বললেন, ‘এটা কদু’।
সে খুব অসন্তুষ্ট হয়ে বললো, ‘তুমি বড় বেয়াদব দেখছি!’
তিনি বললেন, ‘আমরা যা বুঝতে পেরেছি তাই বলেছি। এতে আবার বেয়াদবীর কি হল? অবশ্য যদি ব্যাখ্যা চাও তবে একথার ব্যাখ্যা আমরা দিতে পারি। পরিবর্তিত করার পর এটা আর আল্লাহর কিতাব নয় যে বেয়াদবী হবে। কদু যেরুপ আল্লাহর কিতাব নয় এটাও সেরুপ আল্লাহর কিতাব (ইঞ্জিল) নয়। কদু আর এটার মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। সুতরাং এটাও একটা কদু। কদুকে কদু বললে কোন বেয়াদবী হয়না’।
-আল এফাযাতুল ইয়াউমিয়্যাহ, খন্ড-৫, পৃষ্টা-১১৮।
0 comments:
Post a Comment