Friday, June 10, 2011

মুসলমানের হাসি : ০৫ - যার নাই উস্তাদ তার উস্তাদ শয়তান

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি ভাল আছেন।
মুসলমানের হাসি বইটি নিয়ে লেখা আমার ধারাবাহিক পোষ্টগুলোর এটি পরবর্তী পোষ্ট। পূর্ববর্তীগুলো নিচে দেওয়া হল। না দেখলে এখনই দেখে নিন।


    "যার নাই উস্তাদ তার উস্তাদ শয়তান"

    সাধারণ লোকেরা কোরআন শরীফের বাংলা তরজমা নিজে নিজেই পড়ে থাকে। কোন উস্তাদের কাছে যায় না। ফলে এই গভীর জ্ঞান-সাগর পাড়ি দেওয়ার কৌশল জানা না থাকার কারণে নানা রকম সন্দেহে পতিত হয়। আবার এই সন্দেহ দূর করার জন্যে মোহাক্কেক আলেমকেও জিজ্ঞাসা করে না ফলে সন্দেহ গভীর থেকে গভীরতার হয়ে একদিন ঈমান বরবাদ করে বসে। দেখুন বাংলায় জ্যামিতির বই আছে। সেখানে ঝ্যামিতির চিত্রগুলি বাংলা ভাষায় পড়ে কেন বুঝতে পারে না ? বলা বাহুল্য, সেখানে উস্তাদের দরকার হয়। উস্তাদ ছাড়া সেখানে ভুল করা অবশ্যম্ভাবী। এমন কি মানব রচিত কবিতার ছন্দও নিজে নিজে পড়তে গিয়ে ভুল করে ফেলে।

    যেরূপ এক ব্যক্তি নিচের ছন্দটি পাঠ করে তার অর্থ এত ভুলভাবে গ্রহণ করেছিল যে তার বন্ধুকে উপকার করতে গিয়ে মারাত্মক বিপদে ফেলেছিল। ছন্দটি এইরূপ :
             “সেই হলো বন্ধু, যে বিপদে-পড়া বন্ধুর হাত ধরে।”

    ছন্দটি পাঠ করার পর সে মনে মনে ভাবলো এবার একটা চমৎকার একটা কৌশল শিক্ষা করেছি। একদিন সে দেখলো তার বন্ধু অন্য এক ব্যক্তির সাথে ভীষণ মারামারি করছে। বন্ধু তার সাধ্য মত দুই হাতে মার ঠেকাচ্ছিল। এই ব্যক্তিটি বন্ধুর বিপদ দেখে দৌড়ে এসে তার দুই হাত ধরে রাখলো। ফলে বন্ধু একটি মারও আর ঠেকাতে পারলো না। বিপক্ষ লোকটি ইচ্ছামত মার দিয়ে যখন চলে গেল তখন সে হাত ছাড়লো।
    বন্ধু জিজ্ঞাসা করলো, “কি বন্ধু, তুমি আমার বিপদের সময় হাত ধরে রাখলে যে ?”
    সে জওয়াব দিল, “কেন তুমি কি শেখ সা’দীর এই কবিতাটি পড়নি ? সেই হল বন্ধু যে বিপদগ্রস' বন্ধুর হাত ধরে।”
    অর্থাৎ ভাগ্য ভাল যে ফারসী ‘দাসত্‌’ শব্দের অর্থ ‘হাত’ ধরেছে, ‘দাস-’ (পায়খানা) ধরে নিয়ে আসেনি।
    [বি:দ্র: যেহেতু কবিতাটি ফারসীতে লেখা। ফারসীতে ‘দাসত্‌’ শব্দের অর্থ ‘হাত’ আবার ‘দাস-’ শব্দের অর্থ ‘পায়খানা’।]

    সুতরাং যারা কোরআন পাকের বাংলা তরজমা পড়ে নিজের বুঝা অনুযায়ী আমল করতে চায় তারা এই মুর্খটির চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

    "বুড়ির কান্ড"

    এদের আরেকটি উদাহরণ হলো সেই বৃদ্ধার ন্যায় যার বাড়ীতে বাদশাহর পোষা বাজ (পাখি) উড়ে গিয়ে পড়েছিল।
    বৃদ্ধা পাখীটি ধরে আফসোস করে বলতে লাগলো, “আহ! বাদশাহর বিলাসিতায় তোর এই দূর্দশা হয়েছে। খাঁচায় আটকিয়ে রেখেছিল এতদিন, নখগুলিও কেটে দেয়নি। কত বড় বড় নখ হয়েছে।”
    এই বলে সেই পাখীর সব কয়টি নখ একেবারে গোড়া থেকে দিল। এরপর বাজের বাঁকা ঠোঁটটি দেখে বলে উঠলো, “আহ! খাঁচার মধ্যে অযত্নে থাকতে থাকতে ঠোঁটটি কেমন বাঁকা হয়ে পড়েছে। আয় তোর ঠোঁট সোজা করে দিই।”
    এই বলে ঠোঁটের বাঁকা অংশ ছুরি দিয়ে চেঁছে ঠোঁটটি সম্পূর্ণ সোজা করে দিল। ফল হলো এই যে, বাজটি আর কোন দিন পায়ের নখের সাহায্যে ছোঁ মেরে শিকার ধরতে পারবে না এবং আর কোন দিন ঠোঁট দিয়ে ছিঁড়ে শিকারের মাংস খেতে পারবে না।
    এই অবুঝ বৃদ্ধাটি বাজের উপকার করতে গিয়ে জীবনের মত তাকে পঙ্গু করে দিল।
    সেইরূপ অনেকে কোরআন পাকের বাংলা তরজমা পাঠ করে এই অবুঝ বৃদ্ধার মত মূল বস্তুকে পরিবর্তন করে ভুলভাবে অর্থ গ্রহণ করে থাকে।

    - সংকলিত : আল এফাযাতুল এওয়ামিয়াহ, খন্ড: ৪, পৃ: ১০২-১০৩

    2 comments:

    Allah Is One said...

    boja gelo 'olpo bidda voyongkori'

    Unknown said...

    ঠিক ভাই।

    Post a Comment

     

    © 2009 Islam And Computing । Science without Religion is Lame, Religion without Science is Blind | Design by: Islam And Computing

    ^Back to Top