লা ইলাহা ইল্লাল্লাহের মহিমা : ০১
১. আল্লাহ তাআলা বলেন, "আমি আল্লাহ। আমি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। এ উক্তি আমার; যে ইহা মানিয়া লয় আমি তাহাকে আমার জান্নাতে প্রবেশ করাই, আর যাহাকে আমি আমার জান্নাতে প্রবেশ করাই, সে নিশ্চয়ই আমার আযাব হইতে নিরাপদ হয়। কুরআন আমার বাণী। আর আমার নিকট হইতেই উহা অবতীর্ণ হইয়াছে"।
খতীব ইহা ইবনে আব্বাস (রা: )- এর সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন।
২. যখন মুসলমান বান্দা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে, তখন উহা আকাশসমূহ ভেদ করিয়া যায়, এমনকি উহা আল্লাহর সম্মুখে গিয়া থাকে। তখন আল্লাহ বলেন, “তুমি স্থির হও”, তখন উহা বলে, “আমি কিরুপে স্থির হইব- আমি যার দ্বারা স্থির উচ্চারিত হইয়াছি এখন পর্যন্ত তাহাকে ক্ষমা করা হয় নাই”। তখন আল্লাহ তা’আলা বলেন, “আমি তোমাকে সেই ব্যক্তির জিহ্বার দ্বারা চালিত করি নাই যাহাকে তাহার পূর্ব মুহূর্তেই ক্ষমা করিয়া দেই নাই”।
দায়লামী ইহা আনাস (রা: ) –এর সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন।
৩. তোমাদের প্রতিপালক বলিয়াছেন, “আমাকেই সকলে ভয় করিবে। কারণ, আমিই ইহার উপযুক্ত; অতএব আমার সহিত অন্য কাহাকেও যেন উপাস্য স্থির করা না হয়। অত:পর যে ব্যক্তি আমার সহিত অন্য কাহাকেও উপাস্য করিবে না- আমি তাহাকে ক্ষমা করিয়া দেওয়া কর্তব্য মনে করি (অনুগ্রহবশত:)”।
আহমদ ও তিরমিযী, হযরত আনাস (রা: ) হইতে ইহা বর্ণনা করিয়াছেন।
৪. আল্লাহ তা’আলা বলিয়াছেন, “নিশ্চয়ই আমি জ্বীন এবং মানব নিয়ে এক মহাপরিস্থিতিতে আছি। আমি তাহাদিগকে সৃষ্টি করি, আর তাহারা অন্যের ইবাদত করে, আমি তাহাদিগকে রিযিক দেই, আর তাহারা অন্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে”।
হাকেম ও তিরমিযী, ইহা আবুদ্ দারদা (রা: )-এর সূত্র বর্ণনা করিয়াছেন।
৫. তোমাদের প্রভু বলিয়াছেন, “যদি আমার বান্দাগণ আমার আদেশ পূর্ণমাত্রায় পালন করিত তাহা হইলে আমি নিশ্চয়ই রাত্রিতে তাহাদিগকে বৃষ্টিদান করিতাম, দিনে তাহাদের জন্য রৌদ্র উঠাইতাম এবং তাহাদিগকে বজ্রের ধ্বনি শুনাইতাম না”।
আহমদ ও হাকেম, হযরত আবু হুরায়রা (রা: ) –এর সূত্রে ইহা বর্ণনা করিয়াছেন।
1 comments:
আল্লাহ তাআলা আমাদের আ'মল করার তৌফিক দান করুক। আমীন।
Post a Comment