“বেটা ভণ্ড, মাইয়াগো এত কিছু তুই কেমনে দেকলি?বাংলা লিকতে শেক আগে, এত বাবান ভুল ত বাচ্চা পোলাপান ও করেনা!!! আগে নিজে ঠিক হ তারপর মানুষরে জ্ঞান দিতে আসিসঃ”
হয়ত: অনেকে মূল বিষয় থেকে দূরে সরে গিয়ে লেখককে এসব বলছেন, তাদের জন্য বলছি। আমি খুবই সাধারণ মানুষ, সমাজের এসব অবক্ষয় আমাকে কষ্ট দেয়। তাই এই সহজ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরলাম। পৃথিবীর অনেক মহান চিত্রকরের আঁকা বিখ্যাত ছবিতে উলঙ্গ নারী দেহ প্রদর্শন কে অনেকে বাহবা দিলেও সাধারণ মানুষ যদি এসব বিষয় নিয়ে কোন কথা বলে সবাই তাকে ছিঃ ছিঃ করে। লিওনার্দ দা ভিঞ্ছি এর আঁকা বিখ্যাত ছবি ম্যাডোনা অ্যান্ড চাইল্ড ছবিটি নিশ্চয়ই আপনারা দেখেছেন। না দেখলে দেখে নিন।
উন্নতির একটা বড় বাধাঃ
আমাদের দেশের উন্নতির একটা বড় বাধা হল আমরা মূলবিষয় থেকে অনেক সময় দূরে সরে গিয়া একে অন্নের সাথে বিতর্কে জরিয়ে গিয়া বোকার মত জিততেচাই। কথাই জিতলেই ভাবি আসল জিতা জিতে গেছি। কথাই কিন্তু চিড়া ভেজেনা এটা আমরা ভাবিনা,তাই আমাদের ঝগড়া, বিবাদ আর একে- অন্যকে দোষারোপ করার প্রবণতা আমাদের যুগে যুগে পিছিয়ে দিয়ে দেশের উন্নতিকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে! এই সুযোগে কতিপয় সুযোগ সন্ধানী মানুষ এই আবেগকে কাজে লাগিয়া নিজেদের অসাধু ফাইদা লুটছে। ছোটবেলার সেই “দশের লাঠি এক এর বোঝা” এর গল্পটির শিক্ষা আমরা মুখে মুখে অনেক আলাপ করলেও স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও বিশ্বের দরবারে আমরা উন্নতির দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। ৪০ বছরে আগে যে সব দেশ উন্নতির দিক থেকে আমাদের সমসাময়িক অথবা কম উন্নত ছিল তাদের দিকে যদি এখন তাকাই তবে বুঝতে পা্রব আমরা এই ৪০ বছরে দেশকে কতটুকু উন্নত করতে পেরেছি। কতটা পিছিয়ে আছি আমরা ! আমরা শুধুই স্বপ্ন দেখি। অন্যকে দোষারোপ করি! স্বপ্নদেখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, স্বপ্ন সফল করার জন্য দেশের সব মানুষ এক হয়ে সঠিক কাজ করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
লক্ষণীয়ঃ
১। অনেক বাবা-মা ও এই দেহ প্রদর্শনকে কিছু মনে করছেন না আজকাল।
২। শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড! প্রকৃত শিক্ষা একটি জাতিকে সঠিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবতে শেখাই! একটা জাতীর সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক,পারিবারিক মূল্যবোধ, আচাড় আচরণ, সম্পর্ক, সম্মানবোধ পরিবর্তন করে দেয়া যায় শুধুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এর মাধ্যমে।
৩। একই মানুষ শুধু মাত্র দৃষ্টিভঙ্গির অপারগতার কারণে একটি অশালীন বিষয়কে শালীন মনে করে গ্রহন করছে।
৪। বিদেশী TV Channel গুলো দেখে আমাদের অনেকেই নিজের অজান্তে বদলে যাচ্ছেন।
৫। এক সময় বাংলা সিনেমার নায়িকা ইজ্জত হারালে আত্মহত্যা করতে চাইতো, এ ধরণের সিনেমা দেখে বাংলাদেশ এর তরুণ সমাজ ছোট থেকে বড় হতো (এর অর্থ এই না যে, যারা ইজ্জত হারায় তাদের আত্মহত্যা করার জন্য আহ্বান জানানো)। তাদের মানষিক বিকাশ ও চিন্তা ভাবণা এমন আরো অনেক বিষয় গড়ে উঠত। আর এখন কি ধরণের দেশী ও বিদেশী সিনেমা দেখে আমাদের ছেলে মেয়েরা বড় হচ্ছে? বাবা মার কাছ থেকে কি শিক্ষা পাচ্ছে? চিন্তা করে দেখুন। ওরা য়া দেখবে তাইত শিখবে এটাই স্বাভাবিক। তাই নয় কি ? আমি আরও ভেবে পাইনা এই সব ছেলে মায়ে যখন বাবা মা হবে, তাদের সন্তানকে তারা কি শিক্ষা দেবে?
৬। Hot এবং Sexy এই শব্দ গূলো এখন সম্মান সূচকহিসেবে গণ্য হচ্ছে।
৭। Hug concept এ ছেলে- মেয়েরা বন্ধুদের সাথে জড়াজড়ি করছে। খারাপ কোন উদ্দেশ্য থাকলেও অনেকে এটার খারাপ প্রয়োগ করতে পারে মনে মনে। পুরুষ ও নারী দেহের যেকোনো প্রকার ঘর্ষণ (স্পর্শ) ভিন্ন অমুভুতি তৈরি করবেই। অবিশ্বাস করতে পারেন।
৮। ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে চলাফেরার সময় দূরত্ব কমে যাচ্ছে। ছেলে ও মেয়ে বন্ধুদের মধ্যে হাতাহাতী, গুঁতাগুঁতি, কোলের উপর বসে, হাত রেখে, মাথা রেখে আড্ডা দেয়া, জড়াজড়ি করে ছবি তোলা, সবাইকে সেই ছবি দেখানো এখন স্বাভাবিক বেপার।
৯। একটা সময় প্রেম অনেক পবিত্র ছিল। ভালোবাসই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। বিয়ে করে শান্তিতে সংসার করা ছিল প্রায় সব প্রেমিক-প্রেমিকার স্বপ্ন। এখন ভালোবাসার চাইতে ছাড়াছাড়িই বেশী (!) বিবাহের আগে পরে। প্রেমিক প্রেমিকাদের মধ্যে বেড়ে গেছে বিয়ে না করেই যৌন সম্পর্ক করা। বেড়ে গেছে একসাথে একাধিক সঙ্গীর সাথে প্রেম এর অভিনয় করে আজে বাজে কাজ করা। প্রেমিক-প্রেমিকাদের সম্পর্কের ভিত্তি অনেক দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। Respect কমে যাচ্ছে। বিয়ের আগে ২/৩ টা প্রেম থাকা এখন খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু না।
১০। এই সব কিছুর মিলিত প্রভাবে ধীরে ধীরে সামাজিক অবক্ষয় নেমে আসছে। দিন দিন তা বেড়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে বেড়ে যাচ্ছে ইভটিজিং, ধর্ষণ, পড়কীয়া প্রেম, লীভ টুগেদার সহ সামাজিক আরও নানান ব্যাধি। ৬ষ্ঠ/৭ম শ্রেণীর কিশোর/কিশোরীরা পর্যন্ত যৌনতায় জড়িয়ে যাচ্ছে। এ প্রবণতা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলতে অনেক বেশি দেখা যায়। আপনার পরিচিত কোন ইংলিশ মিডিয়াম এর ছাত্রছাত্রী অথবা শিক্ষক- শিক্ষিকা যদি থাকে আপনি তাদের জিজ্ঞাসা করলে এই কথার সত্যতা পাবেন। অথবা যদি কোন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এর টয়লেট এ যান, দেয়ালের গায়ে লিখা গুলো দেখলে অবাক হয়ে য়েতে পারেন।
১১। আপনার ছেলে মেয়ে কেমন? একটু চিন্তা করে দেখুন ওরা কি ঠিক পথে আছে? ওরা নিজের অজান্তে অসতর্ক পোশাক পরিধানের কারনে সবার অগোচরে রাস্তাঘাটে কারো কুদৃষ্টির ফ্রি কুৎসিত বিনোদন এর শিকার হচ্ছেনা তো?
১২। আরও অনেক লক্ষণীয় ব্যাপার আছে যা আপনি চিন্তা করলেই বুঝবেন। কারণ কোন অশিক্ষিত মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। আপনার কথাগুলো কমেন্টএ লিখুন। সবাই মিলে চলুন বোকা হওয়া থেকে আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করি। সামাজিক ব্যাধিগুলোর আসল কারনগুলো এবং এর মূল খুজে বের করি। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি কোনটা তা বিবেক, বুদ্ধি, মেধা, শিক্ষা, বিচক্ষনতা দিয়ে বের করে তা অনুসরণ করি, অন্যকেও বুঝাতে সাহায্য করি।
১৩। ধরুন আপনি একজন রাজা। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি দেখেন আপনার প্রাসাদ আর নেই, সেটা একটা কুড়ে ঘর হয়ে গেছে। লজ্জা আবরনের ছোট্ট এক টুকর কাপড় ছাড়া সব কিছু নিয়ে গেছে ভিনদেশি যাদুকর (কাকতালীয়ভাবে/অজান্তে)। আপনার দেহটা ছাড়া নিজস্ব বলতে কিছুই নেই আপনার। কেমন লাগবে তখন? খারাপ লাগবে? আফসস হবে? হ্যা, আমাদের দেশ ও হয়ত সেইদিকে এগোচ্ছে। পোশাক পরিচ্ছদ, আচার ব্যবহার, ভাষা সব বদলে যাচ্ছে। আমি বলছিনা এক রোখা হয়ে বসে থেকে উন্নত বিশ্বকে অনুসরণ না করে পিছিয়ে থাকব আমরা। অবশ্যই আমরা সামনে এগিয়ে যাব, কিন্তু তা করতে গিয়া আমরা নিজেরাই যেন হারিয়া না যাই গড্ডালিকা প্রবাহে। আমরা যেন ভালটা গ্রহন করি আর খারাপটা বর্জন করি। আমারা কি? আমাদের মূল কি? তা যেন আমরা ভুলেনা যাই। শিকড় শুকিয়ে গেলে ঐ গাছ বাঁচেনা। প্রথমে রোদে শুকিয়ে কাঠ হয়, এর পর হয় ঘোনেধরা, না হয় মানুষ তা পুড়ে খাবার রান্না করে । একবার ভেবে দেখুন আমাদের অবস্থা ঐ রাজারমত এখন হয়েছে কিনা? ঘুম থেকে না জাগলে বুঝবেনা, জাগুন। দেখুন আপনার জামা কাপর ঠিক আছে কিনা, নাকি কেউ খুলে নিয়া গেছে অথবা নেয়ার জন্য টানাটানি করছে!
হয়ত: অনেকে মূল বিষয় থেকে দূরে সরে গিয়ে লেখককে এসব বলছেন, তাদের জন্য বলছি। আমি খুবই সাধারণ মানুষ, সমাজের এসব অবক্ষয় আমাকে কষ্ট দেয়। তাই এই সহজ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরলাম। পৃথিবীর অনেক মহান চিত্রকরের আঁকা বিখ্যাত ছবিতে উলঙ্গ নারী দেহ প্রদর্শন কে অনেকে বাহবা দিলেও সাধারণ মানুষ যদি এসব বিষয় নিয়ে কোন কথা বলে সবাই তাকে ছিঃ ছিঃ করে। লিওনার্দ দা ভিঞ্ছি এর আঁকা বিখ্যাত ছবি ম্যাডোনা অ্যান্ড চাইল্ড ছবিটি নিশ্চয়ই আপনারা দেখেছেন। না দেখলে দেখে নিন।
উন্নতির একটা বড় বাধাঃ
আমাদের দেশের উন্নতির একটা বড় বাধা হল আমরা মূলবিষয় থেকে অনেক সময় দূরে সরে গিয়া একে অন্নের সাথে বিতর্কে জরিয়ে গিয়া বোকার মত জিততেচাই। কথাই জিতলেই ভাবি আসল জিতা জিতে গেছি। কথাই কিন্তু চিড়া ভেজেনা এটা আমরা ভাবিনা,তাই আমাদের ঝগড়া, বিবাদ আর একে- অন্যকে দোষারোপ করার প্রবণতা আমাদের যুগে যুগে পিছিয়ে দিয়ে দেশের উন্নতিকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে! এই সুযোগে কতিপয় সুযোগ সন্ধানী মানুষ এই আবেগকে কাজে লাগিয়া নিজেদের অসাধু ফাইদা লুটছে। ছোটবেলার সেই “দশের লাঠি এক এর বোঝা” এর গল্পটির শিক্ষা আমরা মুখে মুখে অনেক আলাপ করলেও স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও বিশ্বের দরবারে আমরা উন্নতির দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। ৪০ বছরে আগে যে সব দেশ উন্নতির দিক থেকে আমাদের সমসাময়িক অথবা কম উন্নত ছিল তাদের দিকে যদি এখন তাকাই তবে বুঝতে পা্রব আমরা এই ৪০ বছরে দেশকে কতটুকু উন্নত করতে পেরেছি। কতটা পিছিয়ে আছি আমরা ! আমরা শুধুই স্বপ্ন দেখি। অন্যকে দোষারোপ করি! স্বপ্নদেখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, স্বপ্ন সফল করার জন্য দেশের সব মানুষ এক হয়ে সঠিক কাজ করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
লক্ষণীয়ঃ
১। অনেক বাবা-মা ও এই দেহ প্রদর্শনকে কিছু মনে করছেন না আজকাল।
২। শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড! প্রকৃত শিক্ষা একটি জাতিকে সঠিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবতে শেখাই! একটা জাতীর সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক,পারিবারিক মূল্যবোধ, আচাড় আচরণ, সম্পর্ক, সম্মানবোধ পরিবর্তন করে দেয়া যায় শুধুমাত্র দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এর মাধ্যমে।
৩। একই মানুষ শুধু মাত্র দৃষ্টিভঙ্গির অপারগতার কারণে একটি অশালীন বিষয়কে শালীন মনে করে গ্রহন করছে।
৪। বিদেশী TV Channel গুলো দেখে আমাদের অনেকেই নিজের অজান্তে বদলে যাচ্ছেন।
৫। এক সময় বাংলা সিনেমার নায়িকা ইজ্জত হারালে আত্মহত্যা করতে চাইতো, এ ধরণের সিনেমা দেখে বাংলাদেশ এর তরুণ সমাজ ছোট থেকে বড় হতো (এর অর্থ এই না যে, যারা ইজ্জত হারায় তাদের আত্মহত্যা করার জন্য আহ্বান জানানো)। তাদের মানষিক বিকাশ ও চিন্তা ভাবণা এমন আরো অনেক বিষয় গড়ে উঠত। আর এখন কি ধরণের দেশী ও বিদেশী সিনেমা দেখে আমাদের ছেলে মেয়েরা বড় হচ্ছে? বাবা মার কাছ থেকে কি শিক্ষা পাচ্ছে? চিন্তা করে দেখুন। ওরা য়া দেখবে তাইত শিখবে এটাই স্বাভাবিক। তাই নয় কি ? আমি আরও ভেবে পাইনা এই সব ছেলে মায়ে যখন বাবা মা হবে, তাদের সন্তানকে তারা কি শিক্ষা দেবে?
৬। Hot এবং Sexy এই শব্দ গূলো এখন সম্মান সূচকহিসেবে গণ্য হচ্ছে।
৭। Hug concept এ ছেলে- মেয়েরা বন্ধুদের সাথে জড়াজড়ি করছে। খারাপ কোন উদ্দেশ্য থাকলেও অনেকে এটার খারাপ প্রয়োগ করতে পারে মনে মনে। পুরুষ ও নারী দেহের যেকোনো প্রকার ঘর্ষণ (স্পর্শ) ভিন্ন অমুভুতি তৈরি করবেই। অবিশ্বাস করতে পারেন।
৮। ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে চলাফেরার সময় দূরত্ব কমে যাচ্ছে। ছেলে ও মেয়ে বন্ধুদের মধ্যে হাতাহাতী, গুঁতাগুঁতি, কোলের উপর বসে, হাত রেখে, মাথা রেখে আড্ডা দেয়া, জড়াজড়ি করে ছবি তোলা, সবাইকে সেই ছবি দেখানো এখন স্বাভাবিক বেপার।
৯। একটা সময় প্রেম অনেক পবিত্র ছিল। ভালোবাসই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। বিয়ে করে শান্তিতে সংসার করা ছিল প্রায় সব প্রেমিক-প্রেমিকার স্বপ্ন। এখন ভালোবাসার চাইতে ছাড়াছাড়িই বেশী (!) বিবাহের আগে পরে। প্রেমিক প্রেমিকাদের মধ্যে বেড়ে গেছে বিয়ে না করেই যৌন সম্পর্ক করা। বেড়ে গেছে একসাথে একাধিক সঙ্গীর সাথে প্রেম এর অভিনয় করে আজে বাজে কাজ করা। প্রেমিক-প্রেমিকাদের সম্পর্কের ভিত্তি অনেক দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। Respect কমে যাচ্ছে। বিয়ের আগে ২/৩ টা প্রেম থাকা এখন খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু না।
১০। এই সব কিছুর মিলিত প্রভাবে ধীরে ধীরে সামাজিক অবক্ষয় নেমে আসছে। দিন দিন তা বেড়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে বেড়ে যাচ্ছে ইভটিজিং, ধর্ষণ, পড়কীয়া প্রেম, লীভ টুগেদার সহ সামাজিক আরও নানান ব্যাধি। ৬ষ্ঠ/৭ম শ্রেণীর কিশোর/কিশোরীরা পর্যন্ত যৌনতায় জড়িয়ে যাচ্ছে। এ প্রবণতা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলতে অনেক বেশি দেখা যায়। আপনার পরিচিত কোন ইংলিশ মিডিয়াম এর ছাত্রছাত্রী অথবা শিক্ষক- শিক্ষিকা যদি থাকে আপনি তাদের জিজ্ঞাসা করলে এই কথার সত্যতা পাবেন। অথবা যদি কোন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এর টয়লেট এ যান, দেয়ালের গায়ে লিখা গুলো দেখলে অবাক হয়ে য়েতে পারেন।
১১। আপনার ছেলে মেয়ে কেমন? একটু চিন্তা করে দেখুন ওরা কি ঠিক পথে আছে? ওরা নিজের অজান্তে অসতর্ক পোশাক পরিধানের কারনে সবার অগোচরে রাস্তাঘাটে কারো কুদৃষ্টির ফ্রি কুৎসিত বিনোদন এর শিকার হচ্ছেনা তো?
১২। আরও অনেক লক্ষণীয় ব্যাপার আছে যা আপনি চিন্তা করলেই বুঝবেন। কারণ কোন অশিক্ষিত মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না। আপনার কথাগুলো কমেন্টএ লিখুন। সবাই মিলে চলুন বোকা হওয়া থেকে আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করি। সামাজিক ব্যাধিগুলোর আসল কারনগুলো এবং এর মূল খুজে বের করি। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি কোনটা তা বিবেক, বুদ্ধি, মেধা, শিক্ষা, বিচক্ষনতা দিয়ে বের করে তা অনুসরণ করি, অন্যকেও বুঝাতে সাহায্য করি।
১৩। ধরুন আপনি একজন রাজা। একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি দেখেন আপনার প্রাসাদ আর নেই, সেটা একটা কুড়ে ঘর হয়ে গেছে। লজ্জা আবরনের ছোট্ট এক টুকর কাপড় ছাড়া সব কিছু নিয়ে গেছে ভিনদেশি যাদুকর (কাকতালীয়ভাবে/অজান্তে)। আপনার দেহটা ছাড়া নিজস্ব বলতে কিছুই নেই আপনার। কেমন লাগবে তখন? খারাপ লাগবে? আফসস হবে? হ্যা, আমাদের দেশ ও হয়ত সেইদিকে এগোচ্ছে। পোশাক পরিচ্ছদ, আচার ব্যবহার, ভাষা সব বদলে যাচ্ছে। আমি বলছিনা এক রোখা হয়ে বসে থেকে উন্নত বিশ্বকে অনুসরণ না করে পিছিয়ে থাকব আমরা। অবশ্যই আমরা সামনে এগিয়ে যাব, কিন্তু তা করতে গিয়া আমরা নিজেরাই যেন হারিয়া না যাই গড্ডালিকা প্রবাহে। আমরা যেন ভালটা গ্রহন করি আর খারাপটা বর্জন করি। আমারা কি? আমাদের মূল কি? তা যেন আমরা ভুলেনা যাই। শিকড় শুকিয়ে গেলে ঐ গাছ বাঁচেনা। প্রথমে রোদে শুকিয়ে কাঠ হয়, এর পর হয় ঘোনেধরা, না হয় মানুষ তা পুড়ে খাবার রান্না করে । একবার ভেবে দেখুন আমাদের অবস্থা ঐ রাজারমত এখন হয়েছে কিনা? ঘুম থেকে না জাগলে বুঝবেনা, জাগুন। দেখুন আপনার জামা কাপর ঠিক আছে কিনা, নাকি কেউ খুলে নিয়া গেছে অথবা নেয়ার জন্য টানাটানি করছে!
0 comments:
Post a Comment